মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ ডাবলু-সোহরাব, কাঁদলেন তারা, কর্মীদের হইচই

চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু। আজ শুক্রবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ের কান্না বিজড়িত কন্ঠের এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট মেয়ে দেলোয়ারা বেগম পান্না। মানিকগঞ্জ-১ আসনে তার বদলে ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছে এসএ জিন্নাহ কবিরকে।

ডাবলু বলেন, ‌‘এই মনোনয়নে আমি ক্ষুব্ধ। সংস্কারপন্থিদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। দলের জন্য যারা জীবন বাজি রেখে ত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি এটা বেদনা ও ক্ষোভের। আমার বাবা এই দলের জন্য নিজের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে গেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সমূলে শেষ করতে আজকে গুলশান অফিসে সংস্কারপন্থিরা আসন গেড়ে বসেছে।’

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে গুলশান কার্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটকে দেন। এ ঘটনায় তার নেতাকর্মীরা হৈচৈ করতে থাকেন। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীরা ‘দোতালার অফিসরুমে অনেক লোক, তারা নেমে গেলে আপনারা যাবেন’ বললেও ডাবলুর কর্মীরা হৈচৈ করতে থাকেন।

১/১১ সময়ে দলের মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুঁইয়াকে বহিস্কার করে খালেদা জিয়া খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব নিয়োগ দেন।

একই সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনও। তার বদলে এই আসনে জাকির হোসেন সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সোহরাব বলেন, ‘বিএনপির জন্য আমি শরীরের ওপর ১/১১ সময়ে নির্মম নির্যাতনের মুখে পড়েছে। আজকে এটা আমার প্রাপ্য। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বিএনপির ত্যাগীদের বাদ দিয়েছে। সুবিধাবাদীরা এই দলকে গ্রাস করেছে।’

এ সময় তার নেতাকর্মীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে রাত ১০টা থেকে চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধের চিঠি দেওয়া শুরু করে বিএনপি। রাজশাহী-১ আসনে দিয়ে এই কার্য্ক্রম শুরু হয়।